aaftab banner
Blog :
Scroll to Bottom
কর্ম ফলেই হয়ে গেলাম রাজ পুত্র থেকে রাজ দ্রহী
Posted on Oct 09, 2011

জীবনটা যেন যান্ত্রীক রুপ ধারন করছে দিন বা দিন কিছু বুঝতে পারছি না কি করব বা কিবা করা দরকার কোন কিছুতেই নেই কোন প্রকার আন্ততৃ্প্তি শুধু যেন লাভ আর লোকসানের খেলা । কেমন যেন একটা একাকিত্তের অভিশাপে ঘেরে রেখেছে জীবনটাকে, সপ্তাহের ছুটির দিন যেন কাটতে আসে যেন সময় থেমে যাই শেষ হবার নাম যেন নেইনা যেন মনে হয় ২৪ ঘন্টা ২৪০ ঘন্টা হয়ে যায় । অফিসে থাকলে অনেকটা ভাল সময় কাটে কাজের মাধ্যমে ব্যাস্ততার মধ্যে অনেকটা বাস্তবতার বাইরে,                                                        বাস্তবতা অনেকটাই নিরব ব্যাথারমত যা উঠেতঠিক কিন্ত দেখার মত হয়না,শুধু যার ব্যাথা সেই বুঝে । দৈনিক ১৭/১৮ ঘন্টা কাজ করার পরও যেন কাজ করে তৃপ্তি মিঠেনা

একটি প্রভাদ আছে একজনে করে দশ জনে খায়, তা ভাল দিকও হতেপারে আবার হতেপারে গত কালকের যে বিষয়টি টনক নড়ীয়ে দিয়ে গেল সবার তাতেও । আজ অনেক বছর সৌদিতে তা কবে এসেছিলাম সৌদিতে এখন আর খব একটা মনে পরেনা । যেন সব কিছু শুধুই সৃত্নি একটা সময় ছিল এই সৌদিতে শ্রমিকদের রাজ পুত্র বলা তহ আর আজ কিছু ব্যাক্তির অপকর্মের জন্য আজ সমস্ত বাংলাদেশী এখানে রাজ দ্রহী হয়ে গেছে । গত কয়েক বছর বাংলাদেশের সাথে সৌদির কোন প্রকার সম্পর্ক নেই বললেই চলে এর জন্য কে দ্বায়ী আমরা না সৌদি সরকার ? কথা বলা যত সহজ মনে হয় কর্মটা কিন্তু ততটা সহজ নয় আমার যে থালে খেয়েছি ঐ থালেই ছেদ করে ফেলেছি..........

সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে শুক্রবার আট জন বাংলাদেশী কে প্রকাশ্যে শিরউচ্ছেদ করে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে ,২০০৭ সালের এপ্রিলে মিসরীয় এক নাগরিককে হত্যার সাজা হিসেবে তাদের মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয় একই ঘটনায় আরও তিন বাংলাদেশী নাগরিককে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে

টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার পূর্বশুভা গ্রামের আবদুল হাইয়ের ছেলে মোহাম্মদ সুমন, একই গ্রামের শামসুল হকের ছেলে মাসুদ, সদর উপজেলার আবদুল্লাহপাড়া গ্রামের আবদুল মান্নান সরকারের ছেলে মামুন, সফিপুর উপজেলার ভাতকুরারচালা গ্রামের খোয়াজউদ্দিনের ছেলে শফিকুল ইসলাম, কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার পইয়াকান্দি গ্রামের জামাল উদ্দিনের ছেলে ফারুক, ফরিদপুর সদর উপজেলার কৃষ্ণনগর গ্রামের শহিদ খানের ছেলে মতিয়ার রহমান ও আহম্মদ বিশ্বাসের ছেলে আবুল হোসেন এবং কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার কামারপুর গ্রামের মিলন মিয়ার ছেলে সুমন মিয়া

 ঘটারর সূত্রপাত হয় গত ২০০৭ ইং মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হওয়া ৮ জন সহ ১১ জন বাংলাদেশী ২২ এপ্রিল রিয়াদে একটি গুদাম থেকে বৈদ্যুতিক তার চুরির সময় ওই গুদামের মিসরীয় গার্ড হুসাইন সাইদ মোহাম্মেদ আবদুল খালেককে হত্যা করে অভিযুক্তরা ,আদালতে তার তাদের অপরাধের কথা স্বীকারও করে

শুক্রবার বিকালে আসর নামাজের পর সৌদি আইন অনুযায়ী প্রকাশ্যে শিরউচ্ছেদের মাধ্যমে এদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে এবং তাদের লাশ সৌদি আরবেই দাফন করা হয়েছে সম্পুন্ন মুস্লীম নীতিতে কারন মৃত্তুর আর সে অপরাদী নয় । আর সৌদির আইন অনুসারে মৃতের দেহ এখানেই দাফনের নিয়ম ।তাই পরিবারের কাছে হস্থান্তরের কোন প্রশ্নই উঠেনা ।

     আসামিদের স্বীকারোক্তি ও পারিপার্শ্বিক ঘটনাবলী বিচার করে আসামিদের বিরুদ্ধে চুরি, নরহত্যা এবং জমিনে দাঙ্গা-ফ্যাসাদ সৃষ্টির অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বিচারিক আদালত ওই ৮ জনকে মৃত্যুদণ্ড এবং অন্য তিনজনকে বিভিন্ন মেয়াদের কারাদণ্ড ও বেত্রাঘাতের দণ্ড প্রদান করেন

অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনি কার্যক্রম চলাকালে সৌদি আরবের বাংলাদেশ দূতাবাসের মাধ্যমে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তদের ক্ষমা করার জন্য সৌদি আরবের মহামান্য বাদশাহর কাছে চিঠি পাঠান । আমাদের  

রাষ্ট্রপতি হয়ত ভুলেই গেছিল সৌদিতে তোসামুদি চলেনা । বাদশা আব্দুল্লা কোন হাসিনার কথাই উঠে বসেনা যে ৮ জন কেন ১৫ জনকে মুক্তি দিয়ে দিবে ।সৌদি একটি মুসলীম আইন দ্বারা পরিচালিত রাষ্ট তাই এখানে পবিত্র কোরআনের বিধান অনুযায়ী হত্যাকাণ্ডের জন্য দণ্ডপ্রাপ্তদের ক্ষমা প্রদানের এখতিয়ার রয়েছে কেবল নিহতের পরিবারের । যদি নিহতের পরিবার না চাই তা হলে কোন তোসমুধী কাজে আসবেনা তা বাদশাই হোক না কেন ।নিহত হওয়া মিসরীয় ব্যক্তির পরিবার বাংলাদেশীদের ক্ষমা করতে রাজি হয়নিনিহত আবদুল খালেক মিসরের প্রত্যন্ত জনপদ শারকাইয়া এলাকার অধিবাসী ছিলেন এই পরিবারের সবাই হত্যার বদলে হত্যার নীতি একনিষ্ঠভাবে বিশ্বাস করে তাই অপরাধী ঐ ৮ জনের মৃত্যুদণ্ড শুক্রবার কার্যকর করা হয় ।

    এই বিচারের প্রতিবাদে বাংলাদেশের অনেক পত্রিকা এবং অনেক সংগঠন নিন্ধা জানিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে গত দুই দিন থেকে আর এরই প্রতিবাধ জানানোর জন আমার এ লেখা ,

      হা এক বার আমার ও মনটা খারাপ লাগে যখন দেখি বাংলাদেশী আর পরহ্মনে মনটা ঘৃণায় ভরে যাই শত বার যখন ভাবি আমিও বাংলাদেশী আর এই রকম অপরাধ করেছে বাংলাদেশীরা । কিসের নিন্ধা আর কার জন্য নিন্ধা করব যারা মরল তাদের মৃত্তুর জন্য নাকি তাদের কর্মের জন্য আজ সমস্ত বাংলাদেশীরা এক অমানুবীক জীবন ব্যাতীত করছে তার জন্য ।কামনাকরছি এই বিচার কার্যকর হবার পর হয়ত আমরা কিছুটা হলেও ফিরে পাব আমাদের সেই পুরাতন সম্মান, আবার হয়ত হতেপারব রাজ দ্রহী থেকে রাজ পুত্র ।

     সবার প্রতি একটি কথা যারা দেশের বাইরে জীবিকা যাপন করছেন তারা মনে রাখবেন আপনার পরিচয় আপনার নামে নয় আপনার দেশের নামে তাই দেশের সম্মান রহ্মা করা আমাদের দ্বায়ীত্ব ।



Top | Latest blog


Commented on
Nov 13 2011 6:27AM    




Would you like to comment?
Sign up for a free account, or Sign in (if you're already a member).

Scroll to Top


Copyright ? 2020 valuka.com & aaftab.net All Rights Reserved